বগুড়া ব্রেড-বিস্কুট এন্ড কনফেকশনারী মালিক সমিতির সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া ব্রেড-বিস্কুট এন্ড কনফেকশনারী মালিক সমিতির সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভা গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি হাসান আলী আলাল এতে সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুন শিশুদের মনে-প্রানে ধারন করাতে হবে। কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্জন ও দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানান দিতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিতে হবে তাদেরকে। শিশুরা যেন সৃজনশীল, মননশীল এবং মুক্ত মনের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেককেরই সচেতন হতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দিব বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষনে এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর এগারো দফা ও গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানীরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। জাতির পিতা অনুধাবন করে স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির উপর অত্যাচার-নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দ্বীপ্ত কন্ঠে ঘোষনা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ৭১ এর ২৫ মার্চ কালো রাতে নিরিহ ও নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার ও দোসর রাজাকার, আলবদর, আল সামস, বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। আমরা পাই লাল-সবুজের পতাকা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক ইমদাদ, সহ-সভাপতি বায়েজিদ শেখ, রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, মিরাজ মিয়া, তপন চক্রবর্তী, নুর ইসলাম, আতিকুল ইসলাম বিপ্লব, নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

error

Share this news to your community