তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকার করায় আট পুলিশ সদস্য ক্লোজড

বগুড়া নিউজ লাইভ ডেস্কঃ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারের সময় পুলিশ সদস্যদের আটকের ঘটনায় এবার পাঁচজনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাদের বরিশাল মহানগরের বন্দর (সাহেবের হাট) থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আরও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আকরাম হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানানো যাবে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাহারকৃতরা হলেন-বরিশাল মহানগরের বন্দর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তারিকুল ইসলাম, ইরফান হোসেন ও সোহেল রানা এবং কনস্টেবল জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম। এর আগে একই ঘটনায় সোমবার বরিশাল মহানগরের বন্দর থানার তিন পুলিশ সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, রোববার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার কনস্টেবল জুলফিকার আলী ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই অভিযানে আরও চার জেলেকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা হয় মা ইলিশ।
পটুয়াাখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, রোববার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। এ সময় তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে ইলিশ শিকার করার সময় একটি ট্রলার আটক করা হয়। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই পুলিশ সদস্য এবং চার জেলেকে আটক করা হয়েছে। অভিযানের সময় দু’টি স্পিডবোটসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
সূত্রমতে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্যান্য জড়িতদের সনাক্ত করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দুইদিনে চার পুলিশ কর্মকর্তা ও চার কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ঘটনার তদন্তে একটি তদন্ত কমিটিও গঠণ করা হয়েছে।

error

Share this news to your community