সান্তাহার পৌর শহরে ভূমি আইন উপেক্ষা করে চলছে কৃষি জমিতে পুকুর খনন

সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি: সরকারের ভূমি আইন উপেক্ষা করে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কমল দোগাছী গ্রামে প্রায় ৬ বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পুকুর খননের ফলে চারপাশের অনেক কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলি জমির দীর্ঘমেয়াদি ফসল উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। জমির মালিক জনৈক জালাল উদ্দীন স্থানিয় কতিপয় প্রভাবশালীর যোগসাজসে সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে ফসলী জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে গভীর করে জমির চারদিকে পাড় বেঁধে পুকুর খনন করছেন। আবার এসব মাটি স্থানিয় এক ভেপু মেশিন মালিকের কাছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেন। তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে পুকুর খনন করে মাটিগুলো ট্রাক্টরে বহন করে বিক্রি করছেন বিভিন্ন জায়গায়। ভূমি আইন উপেক্ষা করে কৃষি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে জমির মালিক জালাল উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজী হননি। স্থানিয়দের অভিযোগ, পৌর এলাকার কৃষি জমিতে ভেপু মেশিন দিয়ে এভাবে মাটি কেটে পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে। অবৈধ ভাবে পুকুর খনন বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কমল দোগাছী গ্রামে ফসলি জমিতে পুকুর খননের জন্য পৌরসভা কোনো অনুমতি দেয়নি। যদি কেউ খনন করে তবে তা অবৈধ ভাবে খনন করছে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সামছুল কুদ্দুস জানান, ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা যাবেনা। পৌর এলাকায় পুকুর খনন থেকে বিরত থাকতে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কোমল দোগাছী গ্রামের মাঠে খননের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়টা প্রশাসন দেখবেন। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ্ বিন রশিদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error

Share this news to your community