বগুড়ায় গৃহবধুকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন ও বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষনের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

বগুড়া নিউজ লাইভ ডটকমঃ বগুড়ায় নির্যাতন ও সহযোগীকে দিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষনের পর পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নির্যাতিত গৃহবধু বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্বরোচিত ও মধ্যযুগীয় কায়দায় এই নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। তবে তার সহযোগীকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাকে গ্রেফতার করার জোর চেষ্টা চলছে।
বগুড়া শহরের শাজাহানপুর থানার চকলোকমান এলাকায় এক পরিবহন প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম শনিবার দুপুরে তার এক সহযোগীকে নিয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালায়। ঘটনার সময় বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলেও তারা প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে গৃহবধুর হাত ও মুখ বাঁধে। গৃহবধুর অভিযোগ, তার স্বামী তাকে শায়েস্তা করতে সহযোগীকে দিয়ে ধর্ষণ করায়। তাকে মারপিট ও মাথার চুল কেটে দেয়ার পর ব্লেড জাতীয় কিছু দিয়ে শরীর ক্ষত বিক্ষত করে দাহ্য পদার্থ শরীরে ঢেলে দেয়া হয়। এর পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ওই দুই জন। পরে তার স্বামী ও সহযোগী পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধুর ওপর বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘৃণ্য ঘটনাটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ নির্যাতিত গৃহবধুর সঙ্গে কথা বলে। শাজাহানপুর থানার থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আম্বার হোসেন জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে কাটা চুল ও গৃহবধুর পুড়ে যাওয়া কাপড় উদ্ধার করেছেন। রবিবার দুপুরে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকা থেকে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন তার সহযোগীকে সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষন-নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় নারী নির্যাতন আইনে স্বামী রফিকুল সহ ২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। রফিকুল বগুড়ার গাবতলি উপজেলার মালিয়ানডাঙ্গা দক্ষিনপাড়া গ্রামের তোজাম্মেলের ছেলে। নির্যাতিত মেয়েটির সঙ্গে ৯ বছর আগে প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়েছিলো। তারা চকলোকমান এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তবে দাম্পত্য বিরোধ ছিলো। এদিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, নির্যাতত মেয়েটির শরীরের যে অংশ পুড়ে গেছে তা আশংকাজনক নয়। ধর্ষণের বিষয়ে ফরেনসিক মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। এখন শরীরের ক্ষতজনিত চিকিৎসার জন্য সে হাসপাতালের সার্জিকাল বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নির্যাতিত মহিলার মানসিক অবস্থা নাজুক।

error

Share this news to your community