শেরপুরের চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের ফেল পড়া ছাত্রছাত্রীদের ফরম পুরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়

শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা:
বগুড়ার শেরপুর গাড়িদহ চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ
গ্রহণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ ফেল করার পরও বোর্ড পরীক্ষায়
অংশ গ্রহনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ওইসব ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ফরম পুরনের জন্য
অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ।
জানা যায়, উপজেলার শেরপুর গাড়িদহ চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের পাঠদানের বোর্ডের
অনুমোদন না থাকলেও এসএসসি পরীক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে লেখাপড়া
করাানো হয়। এসএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নিলেও ওই সব ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য স্কুল
থেকে পরীক্ষ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ওই স্কুল থেকে ২০২০ সালের এসএসসি
পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য ২৬জন ছাত্র-ছাত্রী টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এ
পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকৃত সকল ছাত্র-ছাত্রী ফেল করে। এবং ফলাফল শীট বিদ্যালয়ের বোডে
টাংগিয়ে দেওয়া হয়। এই শতভাগ ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের বোর্ড পরীক্ষায়
অংশগ্রহনের জন্য চাইল্ড হ্যাভেন কর্তৃপক্ষ গোপনে কৌশলে তাদের কাছ থেকে ফরম
পুরণের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র-ছাত্রী বলেন- এ বিষয়ে কথা বলতে
আমাদেরকে নিষেধ করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে প্রধন শিক্ষক আকরাম হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা
স্বিকার করে বলেন, আমরা পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে তারপরেই কেবল ফরম ফিলাপ করিয়েছি।
পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে
যান। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা বলছে, তাদের কোন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
এদিকে ওইসব শিক্ষার্থীদের যে প্রতিষ্ঠান থেকে ফরম ফিলাপ করানো হয়েছে সেই
জামুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বক্তব্য জানতে
চাইলে তিনি বলেন-চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের ২৬ জন ছাত্রছাত্রী আমার প্রতিষ্ঠানের
মাধ্যমে ফরম ফিলাপ করেছে। যাদের কোন পরীক্ষা আমি নেই নাই। এছাড়া ওই ছাত্র-
ছাত্রীরা ওই প্রতিষ্ঠানে ফেল করেছে কি-না সেটি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজমুল ইসলাম বলেন- চাইল্ড হ্যাভেন স্কুল কে জি
স্কুল। তাই এখানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই।
এরপর তারা পরীক্ষা নিয়েছেন বলে শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও দাবি করে এই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

error

Share this news to your community