ষ্টাফ রিপোর্টারঃ অবসরে যাওয়া এক ব্যাংক কর্মকর্তা দীর্ঘ ৪ বছরের অধিক সময়
আর্থিক কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিনা
চিকিৎসায় মারা গেলেন আমজাদ হোসেন। দীর্ঘদিন হলো তিনি
অসুস্থ্য হয়ে ঘরে পড়ে ছিলেন। রবিবার বেলা ১১টায় তিনি বেশি
অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
আমজাদ হোসেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সোনাতলা শাখার
গ্রেড-১ এ্যাসিস্টেড অফিসার ছিলেন।
বিগত ১৩ জুন ২০১৫ সালে পি আর এলে যান আমজাদ হোসেন। আমজাদ
হোসেন পি আর এল যাওয়ার আগে ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনালী
প্রধান শাখার স্টাফ ম্যানেজমেন্ট ডিপাটমেন্ট শাখা-৬ ঢাকা থেকে তার
মূল বেতন নির্ধারণের জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয় সোনালী
ব্যাংক সোনাতলা শাখায়। কিন্তু ব্যাংকের সেই সময় দায়িত্ব পালনকারী
ম্যানেজার উৎপল কুমার তার মূল নির্ধারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ
করেননি। এভাবে ওই ব্যাংকের তিনজন ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করে অন্যত্র
বদলী হয়ে চলে যান। কিন্তু কেউই প্রধান কার্যালয়ের ওই চিঠির উত্তর
দেননি।
পরবর্তী ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সামিউল ইসলাম নামের একজন
ম্যানেজার ওই শাখায় যোগদানের পর আমজাদ হোসেনের মূল বেতন
নির্ধারণ করে প্রধান কার্যালয়ে চিঠির উত্তর দেন। চিঠির উত্তর পাওয়ার
পর প্রধান কার্যালয় তার পাওনাদী পরিশোধের নির্দেশ দেন। কিন্ত
বর্তমান ম্যানেজার মাহবুব আলম আজ দেই কাল দেই করতে করতে কালক্ষেন
করেন।
এদিকে অর্থাভাবে আমজাদ হোসেন পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে
অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করেন। কিন্তু ম্যানেজার মাহবুব আলমের
মন গলাতে পারেনি আমজাদ হোসেন। শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায়
তাকে মরতে হলো।
আমজাদ হোসেন মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সহ অসংখ্য
গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মেয়ে জামাই লিটন খান জানান, আমার
শ^শুরতো তাঁর পিআরএল’র টাকা খেয়ে যেতে পারলেন না, এখন তার স্ত্রী
ছেলে ও মেয়েরা খেতে পারবেন কি ? যদিও বিষয়টি বগুড়ার আঞ্চলিক
কার্যালয় সহ প্রধান কার্যালয়ের সবাই জানেন। সোনাতলা শাখার
ম্যানেজার মাহবুব আলম কি পিআরএল এ যাবেন না।