যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে, কমছে

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম ডেস্ক: ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, রসুনসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মাথায় রেখেই এসব পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীদের হাতে চলতি পুঁজির ঘাটতি কমাতে এবং উৎসে করহার যৌক্তিক করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ বেশকিছু পণ্যে উৎসে আয়কর কর্তনের হার কমানোর প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী— চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, চিনিসহ স্থানীয় সরবরাহের ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দাম কমবে হাস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালের।স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন উৎপাদনের উপর মূসক অব্যাহতি আরও একবছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সরিষার তেলের ওপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

কৃষি খাতের প্রণোদনার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি, পাওয়ার টিলার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, রোটারি টিলারের ওপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুতের ৬০ এএমপি পর্যন্ত সোলার ব্যাটারির ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে উৎপাদিত আলু ব্যবহার করে পটেটো ফ্লেক্স তৈরির ওপর মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভুট্টা ব্যবহার করে স্থানীয় পর্যায়ে মেইজ স্টার্চ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

করোনা প্রতিরোধে এ সংক্রান্ত সব ধরনের কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে উৎপাদিত পিপিই, সার্জিক্যাল মাস্কের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের জন্য মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিটেশন সেবার ক্ষেত্রেও মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা এমএস স্ক্র্যাপের দাম কমবে। দেশীয় লৌহ উৎপাদনকে শক্তিশালী করতে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের জন্য আমদানি পর্যায়ের শিল্পের কাঁচামালের ওপর আগাম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবহন সেবার ৮০ শতাংশ রেয়াতযোগ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের: দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের হাতে তৈরি খাবার, গুঁড়া দুধ, রং, অনলাইন খাবার, অনলাইন কেনাকাটা, সোডিয়াম সালফেড, আয়রন স্টিল, স্ক্রু, বার্নিস বাইসাইকেল, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, বিদেশি মোটরসাইকেল বডি স্প্রে, স্মার্টফোন, ফলের জুস, বোতলজাত পানি, আমদানি করা এলকোহল, কোমল পানীয় পলিথিন ব্যাগের দাম প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়তে পারে।

আরও যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে তা নিচে তুলে ধরে হলো- এয়ারকন্ডিশনার, প্রসাধনী সামগ্রী, মোবাইল ফোন সেবা খরচ, ইন্টারনেট সেবা, বিড়ি ও সিগারেট, আলোকসজ্জা সামগ্রী, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন খরচ, গাড়ি, শ্যাম্পু, চকলেট, বিদেশি টিভি।তবে বাজেটে বলা হয়েছে, বাজেটকে ঘিরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে এমন কোনো উপকরণ বাজেটে রাখা হয়নি।

error

Share this news to your community