ভবনে ফাটল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম

আদমদীঘি প্রতিনিধিঃ ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের কানুনগো ভবনে ফাটল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

ভবনটির দেয়ালে মারাত্মক ফাটল ধরেছে। চুন সুরকি দিয়ে নির্মাণ করা ভবনটির ছাদের বিভিন্ন অংশ ফেটে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ার কারণে ভিজে গেছে বহুপুরাতন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। পুরাতন এই ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাফতরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রেলওয়ে সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের এষ্টেট বিভাগের কানুনগোর সান্তাহার কাচারী অফিসে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সর্বপ্রকার দাফতরিক কাজ।

গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আয় হয় ৯৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫১৪ টাকা। তারপরও পুরনো এই জরাজীর্ণ ভবনের কোনো সংস্কার হয়নি। দীর্ঘদিনের এ ভবনটি সংস্কার না করায় ছাদের নিচের অংশ ও দেয়ালের পলেস্তারা উঠে একাধিক স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্ষা এলেই বৃষ্টির পানি পড়ে মেঝে ভরে যায়। ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের গায়ে। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে রেকর্ড রুমের জরুরী গুরত্বপুর্ণ কাগজপত্র। বিকল হয়ে গেছে ১টি কম্পিউটার, ৩টি ফ্যান, কাঠের আসবাবপত্র ও ফাইল কেবিনেট।
সান্তাহার কানুনগোর কার্যালয়ের আমীন আলীমুর রাজীব জানান, বহুপুরাতন এ ভবনটিতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দেয়ালে পড়ে ও মেঝেতে জমে থাকায় অফিসের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে।

ভবনের এমন পরিস্থিতিতে আমি নিজেও খুব ভয়ে অফিস করি। না জানি কখন ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে। তাছাড়া এমনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিজে গেছে যা নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি।
এব্যাপারে সান্তাহার কানুনগো কার্যালয়ের ফিল্ড কানুনগো মোহসীন আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভবনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মাণের পর থেকে কোন ধরনের সংস্কার না করার কারণে বর্তমানে অনেকটা জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাতে হচ্ছে যাবতীয় কার্যক্রম। সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে ৩বার লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তবে কোনো কাজ হয়নি।

error

Share this news to your community