স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং ওয়াইএমসিএ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর যৌথ আয়োজনে মহান বিজয় দিবসের সুবর্ন জয়ন্তী উৎসবের আলোচনা সভা বিষয় ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি ফুটানো হয়। বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র পল বেসরা অডিটরিয়ামে বুধবার বিকাল ৫টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ বছর আমরা পালন করছি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ নারী সম্ভ্রমহানীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন ভুখন্ড লাভ করেছিলাম। আজ বিন¤্র শ্রদ্ধাভরে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মদাতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সর্বশেষ ধাপে উপনীত বাঙালি জাতি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর হায়েনাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে বিজয় অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণ সমাগত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যে বিজয় উৎসবের সূত্রপাত ঘটে সেই থেকে নির্ধারিত তারিখে এ উৎসবটি পালিত হচ্ছে এবং অনাগত ভবিষ্যতেও এটি পালিত হবে। অপরিসীম ত্যাগ ও উৎসর্গের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন যেকোনো রাষ্ট্রের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ, আর বাঙালির জন্য বিশেষ অর্থবহ। প্রতিষ্ঠানের মনিটরিং ও ইভেলুয়েশন কর্মকর্তা কাজী নাজনীন জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্থার সদস্য অর্পনা প্রামানিক, ট্রেজারার টোনাম সরকার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সফিউল আলম নিটু। আলোচনা সভা শেষে বিষয় ভিত্তিক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তীর আতশবাজী ফুটানো হয়। গতকাল সকাল ১০ ঘটিকায় বগুড়া ওয়াইএমসিএ ক্যাম্পাসে সকল স্তুরের কর্মীবৃন্দ ভলিবল প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের টিম বিজয়ী হয়।