বগুড়াসহ উত্তরের ১৬ জেলায় বাস ট্রাক চলাচল বন্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোটারঃ উত্তরের ১৬ জেলায় ট্রাক, বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা ঘোষনা না দিলেও অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। প্রতিদিন উত্তরের জেলা গুলো থেকে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার বাস ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লড়ি চলাচল কর্রে। কিন্তু আজ রাস্তায় তেমন বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আজ রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে. নেতারা বলছে এই ধর্মঘটের সাথে তারা যুক্ত নয়। এদিকে হঠাৎ বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা থাকায় সেই সব ভর্তি পরীক্ষার্থীরা তাদের গন্তব্যে অনেকেই পৌছাতে পারেনি।

বগুড়া জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লড়ি মালিক সমিতির সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লড়ি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আব্দুল মান্নান আকন্দ জানান, উত্তরের ১৬ জেলা থেকে প্রায় ১২শ’ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ট্যাংক লড়ি চলাচল করে। এসবের সাথে প্রায় ৯ হাজার ৬শ’ পরিবার জড়িত। ধর্মঘটের সাথে আমরা যুক্ত নই। এই ধর্মঘটে আমাদের সমর্থন নেই। চেষ্টা করছি ধর্মঘট যেন দ্রুত উঠে যায়। একারণে শ্রমিকদের বোঝানো হচ্ছে। তবে শ্রমিকরা বলছে, জেল জরিমানা হলে তার দায় তো আপনারা নেবেন না। ওটা আমাদেরই বহন করতে হবে। তবে তিনি বলেন, সড়ক আইনটা আরো শিথিল করা উচিৎ। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক আকতারুজ্জামান ডিউক জানান, উত্তরের ১৬ জেলা থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২ হাজার ছোট বড় বাস চলাচল করে। গাড়ীর চালকদের গাড়ী চালানোর জন্য বললেও তারা গাড়ী চালাচ্ছে না।

বগুড়াসহ উত্তরের ১৬ জেলায় বাস ট্রাক চলাচল বন্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগ
বগুড়াসহ উত্তরের ১৬ জেলায় বাস ট্রাক চলাচল বন্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগ

গাড়ী ধর্মঘট আমরা চাইনা। এতে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। গাড়ীর চালকদের বোঝানোর পরেও তারা গাড়ী চালাচ্ছে না। বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়েনের সাধারন সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগীয় মোটর শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ছামসুদ্দিন শেখ হেলাল জানান, ধর্মঘট বিষয়ে আমাদের কোন সিদ্ধাস্ত হয়নি। শ্রমিকরা নিজেরাই গাড়ী চালানো বন্ধ করেছে। ধর্মঘট সবার জন্যই ক্ষতিকর।

বগুড়া চারমাথা বাস টার্মিনালে কথা হলো, গাড়ী চালক আসলাম, হাসানসহ বেশ কয়েকজনের সাথে। তারা জানালেন, গাড়ী চালাতে চাই। কিন্ত মালিকরা গাড়ী দিচ্ছে না। মালিকদের বক্তব্য রাস্তায় গাড়ী ভাংচুর হলে এর দায় দায়িত্ব কে নেবে। তিনমাথা এলাকায় কথা হলো, শফিকুলসহ আরো কয়েকজন বাস ও ট্রাক চালকের সাথে। তারা জানালেন, সড়ক আইন আমাদের একটা জুলুম স্বরুপ। এই আইন সংশোধন করা হোক। তা না হলে রাস্তায় জেল জারিমানা আমাদের পরিবারের জন্য একটা দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়াবে। তারা আরো জানালেন, দ্রুত আইন সংশোধন করা হোক। তা না হলে গাড়ী না চালালে আমাদের পরিবার না খেয়ে থাকবে।

 

আরও পড়ুন

error

Share this news to your community