বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার গাবতলি উপজেলায় সোনারায় ইউনিয়নে কলেজ ছাত্রী নববধু মনিরা
আকতারকে(১৮) মারপিট করার ঘটনায় পুলিশের অভিযুক্ত এস আই রিপন মিয়াকে
মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাকে গাবতলি থানা থেকে
প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত
শুরু করেছে। অপর দিকে নির্যাতিত নববধু বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গাবতিল উপজেলার খুপি গ্রামের মনিরার সঙ্গে একই এলাকার ইমরান হোসেনর
সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। মনিরার দাবি দু’জনের সর্ম্পকের টানাপোড়ন ও
বিয়ের বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতোপুর্বে
ইমরানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করা হয়েছিলো। এই মামলায় ইমরানকে
তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। দুই পরিবারে বিষয়টি
মিমাংসা করার পর আদালত থেকে ইমরান ৩১ অক্টোবর জামিন পায় এবং ১ নবেম্বর
মনিরার সঙ্গে ইমারানের বিয়ে হয়। নির্যাতিত মনিরার অভিযোগ, পুলিশকে না
জানিয়ে মামলার মিমাংসা ও বিয়ে করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন মিয়া ক্ষুব্ধ
হয়ে রবিবার রাতে ইমরানের বাড়িতে য়ায়। সেখানে গিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ
দাবি ও মনিরাকে চড় থাপ্পর সহ টর্চ জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে। রবিববার
রাতেই নববধু কলেজ ছাত্রী মনিরা অসুস্থ্য অবস্থায় বগুড়া মোহাম্মাদ আলী
হাসপাতালে ভর্তি হন। এঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে গাবতলি থানার ওসি
সেলিম হোসেন ওই গ্রামে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে প্রথামিক তদন্ত করে একটি
রিপোর্ট পুলিশ সুপারের নিকট পাঠান। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে অভিযুক্ত এসআই
রিপন মিয়াকে সোমবার প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। বগুড়ার পুলিশ
সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভুঞা জানান, আকলিমা আকতারকে মারপিটের ঘটনায়
অভিযুক্ত এসআই রিপন মিয়াকে প্রত্যাহারের পর মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা
হয়েছে। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আহমদ রাজিউর
রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযুক্তের
বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। এদিকে হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন মনিরা আকতার জানান, মারপিটের কারণে কাঁধ ও হাতে আঘাত
পাওয়ায় তিনি ব্যথায় ভুগছেন।