বগুড়ায় ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবছর ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্ৰহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ । ফলে এবছর আর একযোগে একদিনে নয়, টানা ৪ দিন খাওয়ানো হবে অতিপ্রয়োজনীয় এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী বগুড়ায় প্রায় ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে । ৪৭৮৭৫৮ জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বগুড়ায় সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর (বৃৃৃৃহস্পতিবার) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বগুড়ার সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী, বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন মিশু । এছাড়াও ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পপেইন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন । এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন , বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন , সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমান প্রমুখ। ওরিয়েন্টেশন সভায় আরো জানানো হয়, আগামী ১১ ডিসেম্বর হতে জেলার মোট ২ হাজার ৮ শত ৪ টি কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী জেলার মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭ শত ৫৮ জন শিশুকে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৭ হাজার ৯০ জন শিশুকে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৬৮ জন শিশুকে লাল ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে । ডাঃ সামির হোসেন মিশু জানান , প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশিক্ষিত কর্মি ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করবে । এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মি এবং এনজিও কর্মিরা কাজ করবেন । ভিটামিন এ প্লাস হচ্ছে, ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা বার্তা পৌঁছে দেয়ার একটি কার্যক্রম । এবছর যে লাল এবং নীল ক্যাপসুলটি খাওয়ানো হবে দুটোই দেশের গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস এবং রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস এর তৈরি । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এসব ক্যাপসুল অনুমোদিত হয়েছে । তিনি আরো জানান, ৪ দিন যাবত ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর কর্মসূচি সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে । যদি কেউ ক্যাম্পেইন চলাকালে কোন কারণে শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াতে ব্যর্থ হয় , তাদের জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে এই ক্যাপসুল সংরক্ষণ করা হবে । সেখানে গিয়ে পরবর্তীতে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী আরও জানান , যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সতর্কতার সাথে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । আর এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে প্রচার প্রচারণা চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি মসজিদ থেকে ঘোষণা দেয়ার জন্য জেলার ইমামদের অনুরোধ জানানো হয়েছে । কর্মশালায় বগুড়ায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । প্রসঙ্গত , প্রতিবছর দুইবার দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় । এবছর জুন মাসে প্রথম দফায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল।

error

Share this news to your community