নির্দেশনা উপেক্ষা করে মহাসড়কে চলছে যানবাহনঃ সিরাজগঞ্জে থেমে থেমে যানজটঃবগুড়ায় একের পর এক দূর্ঘটনা

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনা আতংকের কারণে ২৬ মার্চ থেকে যানবাহন চলাচলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহনগুলো বন্ধ থাকলেও মহাসড়কে অবাধে যানবাহন চলাচল করছে। এমনকি যানবাহনের চাপের কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ গোলচত্বর থেকে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দূর্ঘটনা ঘটছে। এতে প্রতিদিন হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১২ জনের প্রানহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫জন।


যানবাহন চালকদের দাবী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার যানবাহনগুলো রাস্তায় যানজট ও বিভিন্ন কারণে সময় মতো গন্তব্যে পৌছতে পারেনি। যে কারণে এখনো রাস্তায় গনপরিবহন চলাচল করছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ঢাকায় সকল কিছু বন্ধ ঘোষনা করার কারণে মানুষ ঘরমুখো হয়েছে। এক সাথে প্রচুর পরিমানে যানবাহন মহাসড়কে চলায় টাঙ্গাইলে বুধবার থেকেই যানজট লেগে ছিল। যে কারণে বেশ কিছু যানবাহন মহাসড়কে আটকা পড়ায় নিদিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌছতে পারেনি। তাই মহাসড়কে এখনও যানবাহন চলাচল করছে। মানবিক কারনে আমরাও বাধা দিচ্ছি না। আশা করছি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কাল শুক্রবার থেকে মহাসড়কে আর কোন যানবাহন চলতে দেয়া হবে না।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ শহিদ আলম জানান, বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের তীব্র চাপ শুরু হয়েছে। এ কারণে সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মহাসড়কে কাজ করছে পুলিশ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট দেখা দিচ্ছে। ঈদের মতো মানুষ ঘরে ফিরছে। প্রচুর গাড়ির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়ার কুন্দারহাট হাইওয়ে ফাঁড়ি ও শেরপুর থানা পুলিশ বলেছে, ছুটির কারণে ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকার কর্মজীবীরা ঘরে ফিরছেন। বাস ট্রাক ও মাইক্রোবাসে তারা আসছেন। আবার এসব পরিবহন ফিরে যাচ্ছে। একারণে মহাসড়কে যানবাহণের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। ফলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ট্রাকে অনেক নিম্ম আয়ের লোকজন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ফিরছেন। তবে পুলিশ আশা করেছে ঢাকার দিক থেকে নতুন করে কোন যানবাহন আর না আসলে কাল শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।


বগুড়ার শেরপুর-ধুনট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান জানান, বুধবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন মহাসড়কে যানজটে পড়ার পর বেপরোয়া গতিতে আসছে। মহাসড়কে এসব যানবাহনের চাপ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ছিলো। আবার এই এলাকা থেকে যানবাহন ঢাকার দিকে ফিরে যাচ্ছে। একারণে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে।


উল্লেখ্য বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই সড়কে দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছে মোট ১২ জন। আহত হয়েছেন ২৫জন।

error

Share this news to your community