নতুন ৪১৪ জনসহ মোট শনাক্ত ৪১৮৬, মৃত্যু আরও ৭

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম ডেস্ক:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৪১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ১৮৬ জনে। মোট মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে হলো ১২৭ জন। এসময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৩ হাজার ৯২১টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৪১৬টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৯০টি। মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, বাকি ২ জন নারী। এদের সবাই ঢাকার বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, একমাস আগে আজকের দিনে আক্রান্ত ছিল মাত্র ৬ জন। আজকে একমাস পর একইদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫.২৬ শতাংশই ঢাকা সিটি এবং ঢাকা বিভাগের। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৩ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ৯৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৩ হাজার ৪২৯ জন। প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৫৪৮ জন। মোট কোযারেন্টিনে এসেছেন ৩ হাজার ৯৭৮ জন।
এদিকে, দেশে গত ২৩ মার্চ করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ছয় জন। এক মাস পর ২৩ এপ্রিল এই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৮৬ জনে। সেই হিসাবে গত এক মাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭০০ গুণ। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের স্বাস্থ্য বুলেটিনে এক মাসের এই তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, এক মাস আগে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ছয় জন। আজ আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ১৮৬ জন। তাহলে বুঝতে পারছেন যে এক মাসে আমাদের শনাক্তের সংখ্যা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শনাক্তদের মধ্যে ৮৫ দশমিক ২৬ শতাংশই ঢাকা শহর এবং ঢাকা বিভাগের মধ্যে। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৪৫ দশমিক ৫১ শতাংশ আর ঢাকা বিভাগে ৩৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ঢাকা বিভাগের মধ্যে বেশি শনাক্ত হয়েছে ক্রমান্বয়ে ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা। শনাক্তদের মধ্যে পুরুষ ৬৮ শতাংশ এবং নারী ৩২ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ২২ তারিখ পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ শতাংশ ৬০ বছরের বেশি বয়সের, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২২ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের ২৪ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের ৮ শতাংশ এবং ১০ বা তার নিচেও ৩ শতাংশ ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মানুষ সর্বাধিক শনাক্ত হয়েছেন। কাজেই আবারও বলি তরুণ যুব সমাজ আপনারা ঘরে থাকুন। নিজেকে সুরক্ষিত করুন এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করুন।ঢাকা শহরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকায় ১০টি এলাকায় সর্বাধিক আক্রান্ত রোগী আছেন। এর মধ্যে ক্রমান্বয়ে আছে রাজারবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, চকবাজার, মিরপুর, উত্তরা, তেজগাঁও এবং মহাখালী।

error

Share this news to your community