গাবতলীতে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ ৫০ শতাংশ পাকাধানে আগুন

বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার গাবতলীতে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরধরে দু’দফা সংঘর্ষের পর প্রতিপক্ষরা ৫০ শতাংশ জমির পাকাধানে আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে। এঘটনায় দুই পাড়ার মধ্য ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের মধ্যকাতুলী গ্রামের ধানের মাঠে।
জানা গেছে, উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের মধ্যকাতুলী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আব্দুল মোমিনের সাথে একই ইউনিয়নের মধ্যকাতুলী দক্ষিনপাড়া গ্রামের একুব আলীর ছেলে নুরুনবীর বালু ব্যবসা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আব্দুল মোমিন তার এলাকার একটি নির্মাধিন বাড়িতে বালু ফেলে, এতে অপর বালু ব্যবসায়ী নুরনবী ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সেই বালু জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় একুব আলী বাদী হয়ে থানায় ৬ জনের নাম উল্লেকসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে থানায় মামলা করে। উভয়ের মধ্য বালু ব্যবসা নিয়ে উত্তেজনা অব্যহত রয়েছে।
বুধবার মধ্যকাতুলী মাঠে আব্দুল মোমিন তার ৫০ শতাংশ জমিতে কামলা নিয়ে পাকা ধান কাটার সময় প্রতিপক্ষরা জমিতে গিয়ে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। কামলাদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। প্রায় ১০ শতাংশ জমির ধান কাটতে বাধা দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোররাতে আব্দুল মোমিনের জমিতে রাখা কাটা পাকাধান স্তুপ করে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। এতে ধানপুড়ে গিয়ে জমির মালিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় দুই পাড়ার লোকজনের মধ্য ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকার ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আব্দুল মোমিন ও একুর আলীর ছেলের মধ্য বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আব্দুল মোমিনের ৫০ শতাংশ কাটা পাকাধান জড়ো করে কে বা কারা আগুন দিয়ে দিয়েছে তা আমি জানিনা।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি। খোঁজ নিয়ে এবং থানায় কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

error

Share this news to your community