বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম ডেস্কঃ প্রাণঘা’তী কারোনাভাইরাসের মধ্যেও মক্কার পবিত্র কাবা ঘর এবং মদিনায় মসজিদে নববী উন্মুক্তকরণের প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে দুই মসজিদ বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সি। তারই অংশ হিসেবে কাবাঘরের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক জীবাণুমুক্তকরণ মেশিন।
মসজিদগুলোর মূল প্রবেশপথে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারই অংশ হিসেবে সর্বশেষ প্রযুক্তি ইনস্টল করা হয়েছে বিশেষ এই ফটকগুলিতে।
উন্নত মানের এসব ফটকে সেলফ স্যানিটাইজার স্প্রেসহ সং’ক্রমণ নির্বীজকরণ করার এবং থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকবে। ক্যামেরাগুলো অবস্থানের ৬ মিটারের মধ্যে একই সাথে বেশ কয়েকজনের তাপমাত্রা মাপা, সং’ক্রমণ নিয়ে আগত মুসল্লিদের গতি পর্যবেক্ষণ এবং সন্দেহভাজন করোনাভাইরাসে আক্রা’ন্ত রোগীদের শ’নাক্ত করার জন্য স্মার্ট স্ক্রিন ব্যবহার করা হবে।
উন্নতমানের এই গেটগুলি করোনাভাইরাস সং’ক্রমণ প্র’তিরো’ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই মসজিদ বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির মুখপাত্র।
কিছুদিন পূর্বে খুব শীঘ্রই মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনায় মসজিদে নববী সাধারণ মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন দুই মসজিদ বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ আব্দুর রহমান আল সুদাইস।
পৃথিবীর প্রথম জমিন হচ্ছে পবিত্র কাবাঘর
মুসলিম ইম্মাহর ভাষ্য মতে এটাকে বলা হয় বাইতুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর। কাবা শরিফ ও পবিত্র কাবাঘরও বলা হয়ে থাকে। এই পবিত্র কাবা ঘরের অভিমুখী হয়েই আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করেন পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিম। সৃষ্টির সূচনা থেকেই মহান পবিত্র এই কাবাকে মহান আল্লাহ তার মনোনীত বান্দাদের মিলনস্থল করেছেন। আমরা সকলেই জানি, ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। এ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন ড. হুসাইন কামাল উদ্দীন আহমদ। তাঁর থিসিসের শিরোনাম হলো—‘ইসকাতুল কুররাতিল আরধিয়্যা বিন্ নিসবতে লি মাক্কাতিল মুকাররামা।’ (মাজাল্লাতুল বুহুসুল ইসলামিয়া, রিয়াদ : ২/২৯২)
ওই থিসিসে তিনি প্রাচীন ও আধুনিক দলিল-দস্তাবেজের আলোকে এ কথা প্রমাণ করেছেন যে কাবাই পৃথিবীর মেরুদণ্ড ও পৃথিবীর মধ্যস্থলে অবস্থিত। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম| পানিসর্বস্ব পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি এ কাবাকে কেন্দ্র করেই।
আরেকটি বিষয় হলো, মাটিতে রূপান্তর হওয়ার আগে কাবা সাদা ফেনা আকারে ছিল। সে সময় পৃথিবীতে পানি ছাড়া কিছু ছিল না। আল্লাহর আরশ ছিল পানির ওপর। হাদিসের ভাষ্য মতে, কাবার নিচের অংশটুকু পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে এর সৃষ্টি। ধীরে ধীরে এর চারপাশ ভরাট হতে থাকে। সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশের। এক মহাদেশ থেকেই সৃষ্টি হয় অন্য সব মহাদেশ। মাটি বিছানোর পর জমিন নড়তে থাকে। হেলতে থাকে।
এর জন্য মহান আল্লাহ পাহাড় সৃষ্টি করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পর্বত স্থাপন করেছেন, যাতে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে আন্দোলিত না হয় (হেলে না যায়)।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৫)