সোহরাওয়ার্দীর পাঁচ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম ডেস্ক: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালক উত্তম বড়ুয়া এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে দুজন মেডিসিন বিভাগ, একজন শিশু বিভাগ, একজন অবেদনবিদ্যা বিভাগ ও একজন বহির্বিভাগের চিকিৎসক।আক্রান্ত পাঁচ চিকিৎসক কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, তাদের সন্দেহ, বহির্বিভাগের চিকিৎসক প্রথমে আক্রান্ত হন। পরে অন্যরা সংক্রমিত হন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক প বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হলে আসলে কে কীভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন, তা নিরূপণ করা কঠিন। তা ছাড়া রোগীরা রোগ গোপন করে হাসপাতালে আসছেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা রোগ গোপন না করলেও ব্যবস্থাপনা ত্রুটির কারণে রোগ ছড়াচ্ছে।
রোগীরা কেন রোগ গোপন করছেন বলে মনে করেন, জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শুনলে সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন রোগীরা। তাঁরা বাড়িতে থাকতে পারছেন না। আবার সব হাসপাতালেও তাঁদের রাখা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন গর্ভবতী নারীর উদাহরণ দেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই নারী করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। বাড়িতে ফিরতে পারছেন না বলে তিনি আজিমপুর মাতৃসদনে যান। সেখান থেকেও তাঁকে বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। এরপর ওই নারী করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত লালকুঠির মা ও শিশু হাসপাতালে যান। হাসপাতালটি প্রস্তুত না থাকায় তাঁকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি এখন এই হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন।
আক্রান্ত মানুষকে যত বেশি ঘুরতে হবে, রোগও তত বেশি ছড়াবে বলে মনে করেন ওই চিকিৎসক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মোট ১০২ জন করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩২ জন চিকিৎসক ও নার্স। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মামুন মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার (১৯ এপ্রিল) এদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চিকিৎসা প্রদানকালে রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে তাদের নমুনা নেওয়া হয়েছে।এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) এই হাসপাতালে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ওই শিশুটির চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব চিকিৎসক ও নার্সের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অপর ৭০ জন সাধারণ মানুষের নমুনা মিলিয়ে মোট ১০২ জনের নমুনা টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

error

Share this news to your community