মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ২ নম্বর কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণাকালে ভোটারদের মধ্যে ভয়-ভীতি দেখাতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছিলেন তুহিন আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে ধরে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। এসময় তুহিনের কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে- স্থানীয়রা এমন তথ্য দিলেও পুলিশ বলছে, তার কাছে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার গভীর রাতে দুর্গাপুর উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তুহিনকে গ্রেফতার করেছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) হাসমত আলী জানান, গ্রেফতারকৃত তুহিন হলেন রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের স্ত্রীর গাড়িচালক। তুহিনকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শনিবার সকালে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। গভীর রাতে বেআইনীভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগে থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে রাজশাহী জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ২ নম্বর কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মঙ্গলপুর গ্রামে তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেও ১৫ থেকে ২০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে মহড়া দিতে থাকে। নৌকায় ভোট না দিতে এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির জন্য সন্ত্রাসীরা এভাবে মহড়া দিতে থাকে। রাত ১২টার দিকে সন্ত্রাসীরা মঙ্গলপুর গ্রামে গেলে দলীয় লোকজন ও গ্রামবাসীরা মিলে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। এসময় মোটরসাইকেল থেকে তুহিন ছিটকে পড়ে যান। পরে তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তার নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করে নৌকায় ভোট না দিতে সাধারণ লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এমনকি নির্বাচনে সহিংস ঘটনা ঘটানোর পাঁয়তারা করছেন। এর পেছনে মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা।
এ ব্যাপারে জানতে রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।