মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত কামরান

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যকরি কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে নগরীর মানিকপীর টিলায় মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। আজ দুপুরে হাজারো মানুষের অংশগ্রহনে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে কামরানের লাশ তার সিলেটের নিজ বাসায় পৌঁছে। সেখানে নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহের অপেক্ষায় ছিলেন। এরপর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ জোহর নগরের ছড়ারপার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ জনসমাগম ছাড়াই দাফন করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা-ভয় কিছুই কাজে আসেনি। ভয়কে উপেক্ষা করে প্রিয় কামরানের জানাজায় ঢল নামে মানুষের। তার দ্বিতীয় জানাজার আগে তার বড় পুত্র ডা. আরমান আহমদ শিপলু কেঁদে কেঁদে সিলেটবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, আব্বা দীর্ঘদিন এই নগরবাসীর সেবা করেছেন। এই নগরবাসীর সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। আমার বাবাকে আমরা আল্লাহর হাওলা করে এসেছি। আমরা সবার কাছে দোয়া চাই। আল্লাহপাক যেন আমার আব্বাকে জান্নাত দেন।

জানজা শেষে জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কামরানের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার ঢাকায় ভোররাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনি:শ্বাস ত্যাগ করেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরাণ।

গত ৫ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় কামরানের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার আগে ২৭ মে তার স্ত্রী আসমা কামরান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ জুন কামরানকে বিমানবাহিনীর এয়ার এম্বুল্যান্স করে ঢাকায় নিয়ে এসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেয়া হয়েছিল। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতি।

error

Share this news to your community