বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে সাধারণ সম্পাদক পদে ত্যাগী ও দক্ষ সংগঠক মঞ্জরুল আলম মোহনকে নিয়ে নেতাকর্মীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি

স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া:
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে সর্বত্র এখন আলোচনা তুঙ্গে। শহর থেকে
উপজেলা পর্যন্ত সম্মেলন নিয়ে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সড়কে
সড়কে নির্মান করা হয়েছে তোরণ। একদিন পরেই ৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা
আওয়ামী লীগের বহুল প্রতিক্ষিত ও আলোচিত সন্মেলন। এর মাধ্যমেই নির্বাচিত
হবেন জেলা আওয়ামী লীগের আগামী নেতৃত্ব। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে
উঠেছে কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ইতোমধ্যে
সভাপতি পদে ৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জনের মনোনয়নপত্র দলীয় নির্বাচন
কমিশন চুড়ান্ত করেছেন। তবে এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে তুলনামুলক
আলোচনা বেশি। দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে বেশি
আলোচনায় রয়েছেন দক্ষ সংগঠক ও কর্মী বান্ধব নেতা হিসাবে পরীক্ষিত, বগুড়া
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন। তবে একই পদে
অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবক্তা হিসাবে পরিচিত রাগেবুল আহসান রিপুও
একেবারে পিছিয়ে নেই। তার মতোই সাধারণ সম্পাদকের পদের লড়াইয়ে রয়েছেন
আরেক যুগ্ম সম্পাদক টি জামান নিকেতা।
বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতা কর্মীদের মতে, মঞ্জুরুল আলম মোহন রাজপথের
পরীক্ষিত নেতা। সামরিক স্বৈরাচার থেকে বিএনপি জামায়াতের স্বৈরশাসনের সময়
সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তিনি। প্রতিটি
আন্দোলনে বগুড়ার রাজপথে সামনের সারিতে ছিলেন। বিএনপি জামায়াতের মামলা
হামলা নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন সব সময়। জেলা
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসাবে
দীর্ঘ সময়ের দায়িত্ব পালনের পরে ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক নির্বাচিত হন। এজন্য ত্যাগী নেতা হিসাবে সম্মেলন ঘিরে
নেতাকর্মীদের বেশি উৎসাহ তাকে ঘিরেই। তার পক্ষেই নেতাকর্মীদের প্রচার ও
আগ্রহ তাই বেশি। তবে সভাপতি পদ নিয়েও আলোচনা থেমে নেই। কৌতুহলও
রয়েছে সমানতালে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু সম্ভাব্য
সভাপতি হিসাবে আলোচনার সামনে রয়েছেন বলে নেতা কর্মীদের মন্তব্য। দীর্ঘ
দিন ধরে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর এবার
সভাপতি পদে অন্যতম প্রার্থী। তবে জেলা আওয়ামীলীগের প্রথম সারির অন্য
নেতাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, টিএম মুসা
পেস্তা,তোফাজ্জল হোসেন দুলু ও এ্যাডভোটে মকবুল হোসেন মুকুলের নামও
আলোচিত হচ্ছে। তবে কার ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পিত হবে তা সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের
আগে জানার সম্ভাবনা কম বলে এনিয়ে গুঞ্জনের মাত্রাও বাড়ছে।

error

Share this news to your community