বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া শহরের খান্দার এলাকায় এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধারের পর অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আব্দুল মোমিন(১৬) মালগ্রাম মিফতাউল উলুম কওমী মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। এই ঘটনার নিহত শিশুর বাবা ফজলুর রহমান বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশ জানায়, খানান্দার কসাইপাড়ার বাসিন্দা ফজলুর রহমানের শিশুকন্যা লুনা খাতুন (৭) ঠনঠনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়তো। শনিবার বিকেলে সে খান্দার বাজারে তার দাদার খাবারের দোকানে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মিলছিলো না। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে খান্দার চারতলা মোড় এলাকার একটি গলির ভেতর ওই শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, মরদেহের গলায় ও কপালে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয়। একারণে লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ কারণ অনুসন্ধানে নামে এবং ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে আব্দুল মোমিন নামের মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে শিশুর বাবা এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত মোমিন একই এলাকার তপন আলীর ছেলে।