বগুড়ায় কমিউনিষ্ট পাটির ৪দিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী পালন কর্মসূচির উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটি আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঐতিহাসিক সাতমাথায় সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড এডভোকেট দুলাল কুন্ডু। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণজয়ন্তী উজ্জাপন উপকমিটির আহ্বায়ক হাসান আলী শেখ। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ,সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, মতিয়ার রহমান, সাজেদুর রহমান ঝিলাম, শাহনিয়াজ কবির খান পাপ্পু, সোহানুর রহমান সোহান প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দেশগান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বগুড়া জেলা সংসদের শিল্পী বৃন্দ। এরপর এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালীর সময় ভ্রাম্যমান মঞ্চে দেশগান পরিবেশন করা হয়। বিকালে শহরের কলোনি বাজার, বনানী, ফুলতলা, খান্দার ও সেউজগাড়িতে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ থেকে গান পরিবেশন করা হয় এবং জেলার নেতৃবৃন্দ পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশবাসীর প্রতি অভিনন্দন রইলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি এবং দুই লক্ষ্ মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের প্রতি নেতৃবৃন্দ বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ ৫০ বছরে পদার্পণ করছে। জনগণ যে ধরনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেশ আজ তার উল্টোপথে চলছে, ঘুষ দুর্নীতি, লুটপাট, দখলদারিত্ব, হত্যা, নারী নিপিড়ন, বেকারত্ব বেড়ে চলেছে, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে মানুষ দিশেহারা। বৃদ্ধি পেয়েছে ধন-বৈষম্য ও শ্রেণী-বৈষম্য। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান প্রতিহত ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জামাত -শিবিরের রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। জোরদার করতে হবে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, ভাত ও ভোটের দাবি সহ শোষণ মুক্তির লড়াই। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমাদের আকাঙ্খা ও অর্জনের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েগেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতি, সাম্রাজ্যবাদ নির্ভরতা, হেফাজত তোষণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ভুলুন্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন, হারিয়েছি ভোটাধিকার, জোরদার করতে হবে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, ভাত ও ভোটের লড়াইকে। নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সংগে বলেন গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং সাম্যের বাংলাদেশ নির্মাণ করবো শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা,মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং চেতনা বাস্তবায়ন করবোই। ৬ দিন ব্যাপি সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এই কর্মসূচি কাহালু, শেরপুর, ধুনট,গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা উপজেলায় পালিত হবে।

error

Share this news to your community