ফলোআপঃশাজাহানপুরে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টাকারী অফিস সহকারী গ্রেফতার

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় মানিক দ্বিপা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষন চেস্টাকারী সেই অফিস সহকারী হারেজ উদ্দীন গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন থানার এস আই ছাম্মাক হোসেন। হারেজ উদ্দীন শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক এবং উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য।
গত ৩মার্চ মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টার দিকে স্কুলের লাইব্রেরী কক্ষে ওই সহকারী শিক্ষিকাকে একলা পেয়ে ধর্ষন চেস্টা করেন স্কুলের অফিস সহকারী হারেজ উদ্দীন। এই ঘটনায় প্রথমে মৌখিক ভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করেন ওই শিক্ষিকা। পরদিন সকালে প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে আসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। সত্যতা পাওয়ায় অফিস সহকারী হারেজ উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং কেন তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবেনা মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা সেদিন রাতে নিজে বাদী হয়ে থানায় এজাহার করেন। পরপরই হারেজ উদ্দীনকে গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে মোবাইল ফোন বন্ধ করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় হারেজ উদ্দীন। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হন পুলিশ। ঘটনাটি পুরো উপজেলা জুড়ে নিন্দা এবং আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়।
অপরদিকে অফিস সহকারী হারেজ উদ্দীন উপস্থিত না থাকলেও গত বৃহস্পতিবার তার পক্ষে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দাবী করে এ্যাড আব্দুল মতিন এবং এ্যাড মজনু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়ে অফিস সহকারী হারেজ উদ্দীনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা যুবলীগ নেতা এ্যাড আব্দুল মতিন এবং এ্যাড মজনু বিদ্যালয়ে এসে নোটিশের জবাব দিয়ে গেছেন। ধর্ষন চেস্টার ঘটনায় ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এ্যাড আব্দুল মতিন জানান, তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দয়িত্বে আছেন। অফিস সহকারী হারেজ উদ্দীনের নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে তিনি এবং এ্যাড মজনু বিদ্যালয়ে নোটিশের জবাব দিয়ে এসেছেন।
শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু জানান, আব্দুল মতিন নামে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ নাই। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অনেক আগেই মৃত্যু বরন করেছেন। যুবলীগের কোন নেতা কর্মী বিএনপি নেতার জন্য কাজ করতে যাবেনা। যুবরীগের সন্মান হানির জন্য অপপ্রচার বলে তিনি দাবী করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ছাম্মাক হোসেন জানান, হারেজ উদ্দীনকে গ্রেফতারের পর কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ড চাওয়া হবে।

error

Share this news to your community