বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম, দুপচাঁচিয়া, প্রতিনিধিঃ বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপচাঁচিয়ার পল্লীতে রানা সরদার (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত যুবক উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের মন্টু সরদারের ছেলে। সে পেশায় অটো ভ্যান চালক ছিল।
থানা সূত্রে জানা যায়, নিহতের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শহীদুল ইসলাম ও থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারের দাবী ওই গ্রামের সামায়ন ইসলাম(৪২) ওরফে সামন এর কলেজ পড়–য়া মেয়ে শামীমা খাতুন(১৭) এর সাথে নিহত রানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে গত ২০এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত অনুমান ৩টার দিকে শামীমার বাবা সামন ও তার ভাই মফিদুল রানার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকলে রানা টের পেয়ে তাদেরকে অনুসরণ করে। এক পর্যায়ে তারা রানাকে কিলঘুষি মারে। এরপর বুধবার ভোরে রানাকে তার ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে তার বাবা থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। পুলিশ দায়েরকৃত অভিযোগটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে মামলা গ্রহন করে। নিহত রানার মা হেলেনা বিবির দাবী যেহেতু রানার ঘরের জানালা ভাঙ্গা রয়েছে সেহেতু শামীমার পরিবারের লোকজন তার ছেলেকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই ঘরের ভিতরে ঝুলিয়ে রেখেছে।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।