দিল্লির দূষণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার

ক্রিকেট ডেস্কঃ ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজ শুরুর আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল দিল্লির দূষণ। শুধু ক্রিকেটমহলের সংশয়ই নয়, দিল্লির এমন দূষিত পরিবেশে খেলতে নামা ক্রিকেটারদের পক্ষে কতটা অস্বাস্থ্যকর তা নিয়ে পরিবেশবিদরাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই মর্মে চিঠিও পৌঁছেছিল। দাবি উঠেছিল সিরিজের প্রথম টি-২০ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। যদিও শেষ মুহূর্তে ম্যাচ স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়নি। খেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও বোর্ড সভাপতি সৌরভ স্পষ্ট স্বীকার করে নিয়েছিলেন দিল্লির এমন পরিবেশ ক্রিকেট খেলার অনুকূল ছিল না।

ভারত ও বাংলাদে উভয় দলের ক্রিকেটারদের সৌরভ ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলেন তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এমন দূষণের মাঝেও খেলতে নামায়। সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন প্রথম টি-২০ ম্যাচে ক্রিকেট খেলার আদর্শ পরিবেশ উপহার দিতে না পারার জন্য।

দিল্লিতে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক জয় তুলে নিলেও তাদের ক্রিকেটাররা কতটা অস্বস্তিতে ছিলেন তা বোঝা যায় ম্যাচ পরবর্তী রিপোর্টে। শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এমন দূষিত পরিবেশে। ড্রেসিংরুমে বমিও করেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। অপর জনের পরিচয় এখনও সামনে আসেনিবছর দুই আগে দিল্লিতে এমন দূষিত পরিবেশে টেস্ট খেলতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। ম্যাচের সময় সিংহলি ক্রিকেটারদের মাস্ক পরে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল। এবার বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা অনুশীলনে মাস্ক ব্যবহার করলেও ম্যাচের সময় কাউকেই মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।

দিল্লির দূষণ নিয়ে প্রথম ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমকে অবশ্য বিশেষ চিন্তিত দেখায়নি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, দূষণ নিয়ে তাঁদের দুশ্চিন্তা নেই। তাঁদের লক্ষ্য স্থির ছিল ভারতীয় বোলারদের যথাযথ সামলানোর দিকে।

error

Share this news to your community