জয়পুরহাটে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের উপর প্রতিদ্বন্দি প্রভাবশালী প্রার্থীর হামলার অভিযোগ

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জব্বার ফরহাদ তার দলবল নিয়ে মনোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেন বলে ২৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তার নির্বাচন সমন্বয়কারি একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ, নির্বাচনী কর্মী আনোয়ার হোসেন, এরশাদ আলী সহ নির্বাচন কালীন তার কর্মী-সমর্থকরা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ২৭ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বম্বু ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দি ছিলেন পার্শ্ববর্তী পালপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ও বম্বু ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ফরহাদ।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে ফরহাদ হিংসাত্মক পথে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আমাকে ও আমার কর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকী পদর্শন করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৮ টার দিকে আমি কড়ই মাদ্রাসা বাজারে চা এর দোকানে গেলে ফরহাদ, তার ভাই আব্দুল আলিম ও খোরশেদ, কড়ই মধ্যপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে, ওবাইদুর ইসলাম, শাহজাহান আলীর ছেলে মুমিন মুন্নি, তাজুল ইসলামের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাজমুল ও এনামুল সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন লাঠি শোঠা ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে। তাদের বেধরক কিলঘুষি ও লাঠি শোঠার মারপিটে আমি আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে স্থানীয় জনগন ও আমার নির্বাচনের কর্মীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে স্থানীয়রা আমাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান।
নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আরো জানান, চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বর্তমানে কিছুটা সুস্থবোধ করলে ও ফরহাদ ও তার দলবল আবারো হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ফরহাদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এ ব্যাপারে দু’এক দিনের মধ্যে মামলা করবেন বলেও জানান নবনির্বাচিত এই ইউপি সদস্য।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পরাজিত প্রার্থী ফরহাদ ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘ নির্বাচনের পর দিন ঘটনাস্থলে এসে কর্মীদের নিয়ে চা পান করছিলাম। এ সময় সেখানে বিজয়ী মনোয়ার আমাদের চায়ের বিল দিতে চান, এতে আমার কর্মীরা অপমান বোধ করছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে মাত্র।’

error

Share this news to your community