শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রূখতে বগুড়ায় ৯ ছাত্র সংগঠনের সমন্বিত মানববন্ধন ও সমাবেশ

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রূখতে শুক্রবার সকাল ১১ টায়, বাংলাদেশ ছাত্র
ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট,
ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, যুবমৈত্রী যুবজোট, সুজন,
উদীচী বগুড়া জেলা কমিটির সম্বনয়ে ঐতিহাসিক সাতমাথায়
সমাবেশ করেছে।
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। সেই জায়গায় বাংলাদেশের শিক্ষা
ব্যবস্থায় বেসরকারী স্কুল সমূহের জন্য সরকারি ভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে
৫০০, উপজেলা ১০০০, জেলা শহর ২০০০ ও বিভাগীয় শহর (ঢাকা) ছাড়া
৩০০০ টাকা নির্ধারণ করলেও বগুড়া সহ সারাদেশে সবজায়গায় নজরদারি
না রাখার কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ নির্ধারিত টাকার
চাইতে বিভিন্নখাত দেখিয়ে ৩ থেকে ৫ গুন বেশী অর্থ আাদায় করছে।
এই নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ আাদায় এর প্রতিবাদে সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি
সাজেদুর রহমান ঝিলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও
বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আমিনুল ফরিদ, জাসদ
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. এমদাদুল হক, ন্যাপ বগুড়া জেলা কমিটির
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রহমান, কৃষক সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির
সভাপতি সন্তোস কুমার পাল, যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলা কমিটির
সাধারণ সম্পাদক শাহনিয়াজ খান পাপ্পু, যুবমৈত্রী জেলা কমিটির
সভাপতি তাইজুল ইসলাম রোম, জাতীয় যুব জোট বগুড়া জেলার সভাপতি
ওবাইদুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও
জেলা সংসদের সভাপতি ছাত্রনেতা নাদিম মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র
ফ্রন্ট বগুড়া জেলা শাখার স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আনন্দ কুমার, জাসদ
ছাত্রলীগ শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী
বগুড়া জেলা সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক খান রনিক,

জাতীয় শ্রমিক জোট বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুল
আলম মামুন, সুজন বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন ইসলাম
তুহিন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন যুবমৈত্রী বগুড়া জেলা কমিটির
সাধারণ আবুল কালাম আজাদ।
সমাবেশের সভাপতি যুব ইউনিয়ন জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান
ঝিলাম বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সমালোচনা করে বলেন
তারা স্কুলে বসে বগুড়া বাসির কাছ থেকে বেআইনি ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা
হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকারের প্রতি দাবি তোলেন সবার জন্য শিক্ষা সহজ
লভ্য করার জন্য। কমপক্ষে আরও দুই তিনটি স্কুল সরকারিকরন করতে হবে বগুড়ায়
এবং বেসরকারি স্কুল সমুহে শিক্ষার বানিজ্য বন্ধ করে শিক্ষা দানের
মাধ্যমে শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য বজায় রাখতে হবে। তা না হলে শিক্ষার্থী ও
অভিভাবকদের নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সহ
শিক্ষা ব্যবস্থার শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করা হবে।
বক্তারা বলেন, টাকা যার শিক্ষা তার এ নিয়ম স্বাধীন বাংলাদেশ বাস্তবায়ন
হতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষা মৌলিক অধিকার শিক্ষার সকল ব্যয় রাষ্ট্র কে
নিতে হবে। অর্থের সংকটে আজকে অধিকাংশ ছাত্র উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ
করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথের সংকটের কারণে আজকে প্রাথমিক পর্যায়
থেকে ঝড়ে পড়ছে অনেকে। মাধ্যমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আবার উচ্চ
মাধ্যমিক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

error

Share this news to your community