ভারতীয় উপমহাদেশের কেন্দ্রীয় মঠ বগুড়া ধুনটে

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলা সদরের কুঠিবাড়ি গ্রামে স্বামী জীবানন্দ নামে একটি মঠ অবস্থিত। মঠটি বেশ দর্শনীয়। ব্রীং ধাতু উৎপত্তিগত তত্ব অধিকারী স্বামী জিবানন্দ মহারাজ প্রকট ৯৯৮৭ সনে আবির্ভূত হন। উল্লেখ্য যে ৯৯৮৭ সন স্বামী জিবানন্দ প্রবর্তিত জিবানন্দ অব্দ বলা হয়। বাংলা ১৩৪০ সালের অগ্রায়হন থেকে জিবানন্দ অব্দ। তিনি ১১৩৬ সালে ভারতের বীরভুম জেলার কুশডোবা নদীর পূর্ব তীরে কালিকাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১১৭৬ সালে ৪০ বৎসর বয়সে তিনি সন্ন্যাস ব্রত গ্রহন করেন। তার বাহু আজানুলম্বিত এবং শঙ্খ, চক্রগদা পদধারী প্রতীক স্বরুপ চিন্হ, তার দক্ষিণ হস্তে ছিলো। স্বামী জিবানন্দ মহারাজ মানব ধর্ম প্রচারক সংঘের প্রানপুরুষ ছিলেন। তিনি ধুনট থানাধীন সরকার পাড়া গ্রামের শ্রীমত্ত নিখিল দত্ত মহাশয়ের বাড়িতে আগমন করেন। উক্ত বাড়িতে অবস্থান কালীন বাংলা ১৩৬০ সালের ১৪ জৈষ্ঠ্য মৃত্যুবরন করেন। তার বাড়িতেই শ্রাদ্ধ ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তার তিরধান দিবস উপলক্ষে প্রতিবৎসর অগণিত ভক্তের আগমন ঘটে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে কুঠি বাড়ি নিবাসী বাবু জগেশ্বর মহাশয় ৪০ শতাংশ জমি দান করে, কুঠিবাড়িতে জিবানন্দ নামে এই মঠটি তৈরী করেন। ইহা ভারতীয় উপমহাদেশের কেন্দ্রীয় মঠ হিসাবে খ্যাত- এলাকার প্রবীন ইতিহাস গবেষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর মতামত। ১৯৮৫ সালে রথযাত্রার দিন এই মাঠের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। প্রতিবৎসর ২ বৈশাখ গোটা বাংলাদেশ ও ভারতের ভক্তবৃন্দ স্বামীজীর তিরোধান উপলক্ষে সমবেত হয়ে তিরোধান দিবস পালন করেন। তাদের উদ্দেশ্য, মানুষের মধ্যেই ইশ্বর বিরাজমান। তাই তাকে জাগিয়ে তোলা মুখ্য উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। মানব আত্মার মুক্তি হলেই মানুষ শান্তি লাভ করবে। এটাই হচ্ছে মানব ধর্ম প্রচারক সংঘের আদর্শ। বিস্তারিত সকল, ধুনট এর বিশেষ ব্যক্তিত্ব, গবেষক আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সাথে আলাপকালে পাওয়া যায়।

error

Share this news to your community