কনক দেব‘, মোকামতলা, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বগুড়া- শিবগঞ্জে দেউলী ইউনিয়নের লক্ষীকোলা চকপাড়া গ্রামের মোঃ খোরশেদ এর চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী (১২) উপর কয়েকদফা শীলতা হানি চেষ্টা করেছে মৃত মিছির আলীর ছেলে লম্পট শাজাহান(৫০)।
জানা যায়, লক্ষীকোলা চকপাড়া গ্রামের এক স্বামী পরিত্যাক্তার কন্যা ওই স্কুল ছাত্রী। গরীব নানা মোঃ বাকীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। একই গ্রামে লম্পট শাহাজাহান এর বাড়ী। লম্পট শাহজাহানের কু দৃষ্টি পড়ে ওই ছোট্ট শিশুর। শাজাহান বিভিন্ন সময় ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী করে। এর প্রেক্ষিতে ওই শিশুর নানা বাকি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী গ্রাম্য মাতব্বর মোঃ আশরাফুল, মোঃ ফজলু সহ কয়েকজনের কাছে এর বিচার চাইলে লম্পট শাজাহান প্রথমে ৫০/টাকা হাতে নিয়ে নানার পরিবারের কাছে উপস্থিত লোকজনদের সামনে কান ধরে তওবা পড়ে ৫০/টাকা দিতে চায়। ভুক্তভোগী পরিবার মানসম্মানের ভয়ে ও গরিব পরিবার হওয়ায় হাস্যকর টাকা না নিয়েই সেবারের মতো মাফ করে দেয়। পরবর্তীতে আবারও একই ঘটনা ঘটাতে থাকে ঐ লম্পট। ভুক্তভোগীরা আবারো উল্লেখিত ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে অভিযোগ করলে লম্পট শাজাহান ও তার স্ত্রী, মেয়ে পরিবার সহ হাস্যকর ১০০/টাকা নিয়ে এসে কান ধরে উঠাবসা করে আবারও মাফ চায়। বিষয়টি গত ১৫ জুন মোকামতলায় সাং বাদিকদের অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদক সহ বেশ ক’জন সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর কাছে থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায় এই লম্পট শাজাহান একজন হিন-বিকৃত মানসিকতার মানুষ এর আগেও কয়েক বার পাড়া-প্রতিবেশী বিভিন্ন পরিবারের সাথে যৌন হয়রানি করে গ্রাম্য শালিসে ও মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়িতে বিচার শালিশ করে কয়েক দফা জরিমানা দিয়ে প্রত্যেক ঘটনায় পার পেয়ে যায়। বর্তমানে যৌন হয়রানীর শিকার ওই শিশুর মামা মোঃ সুলতান সহ ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসী লম্পট শাহজাহানের বিচার চায়।
এবিষয়ে গত ১৭ জুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসআই মোবারক। এ ব্যাপারে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ অফিসার সনাতন জানান, ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঐ লম্পট প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।