স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ বৃহস্পতিবার বগুড়ার কাহালু, শাজাহানপুর, ধুনট ও সারিয়াকান্দি চরে বজ্রপাতে ৪জন কৃষক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ২জন কৃষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাহালু প্রতিনিধি জানান, বিকাল ৩টার দিকে মালঞ্চা ইউনিয়নের এরুল বাজারের পাশে খেলার মাঠে কয়েক জন কৃষক ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। এসময় বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে ৩ জন আহত হন। এদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান (৫৫) কে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হাসান আলী ও রায়হান নামে আরো ২জন কৃষক আহত হন। এদের মধ্যে হাসানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাজাহানপুর প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের মধ্যহরিণগাড়ি মাঠে বজ্রপাতে নুরুল ইসলাম(৪০) নামে এক কৃষক গুরুতর আহত হন। ঘটনার সময় তিনি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে ওই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি জানান, সারিয়াকান্দির যমুনার চরে বজ্রপাতে লেবু মন্ডল (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি গ্রামের বুল মন্ডলের ছেলে। লেবু মন্ডল কাজলা ইউনিয়নের যমুনার চর কুড়িপাড়া চরে কৃষি কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে কুড়িপাড়া চর থেকে হিন্দুকান্দি গ্রামে আসছিল। আকাশে মেঘ দেখে আবার কুড়িপাড়া চরে ফিরে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ।
ধুনট প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বজ্রপাতে ছালাম সরকার (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুস সালাম উপজেলার গোপালনগর গ্রামের দেরাজ আলী সরকারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা-সাতটিকরী পাকা সড়কের দেউড়িয়া সেতুর উপর এ দূর্ঘটনা ঘটে।
আব্দুস ছালাম বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির অদুরে মাঠের গোচারণ ভূমিতে গরু চরাতে যান। বিকেলের দিক বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে তিনি গরুর বাথান নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। এসময় দেউড়িয়া সেতুর উপর পৌছলে বজ্রপাতে কৃষক আব্দুস ছালামা সরকার ঘটনাস্থলের মারা যান।
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল, ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা, শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন ও সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন নিহতদের পরিবারের লোকজন লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছেন।
