ফেনীতে পৃথক দুর্ঘটনায় সরকারি নারী কর্মীসহ নিহত ৩

বগুড়া নিউজ লাইভ ডটকম: ফেনীতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের নারী কর্মচারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত দুজন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা ও সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফুলগাজী উপজেলায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের একজন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক তপুরা আক্তার (৩৮)। তিনি ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. ইউসুফের স্ত্রী। অপরজন বেলাল হোসেন (২৩)। তিনি পেশায় অটোরিকশার চালক ছিলেন।
দুর্ঘটনা দুটির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন। তিনি জানান, তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফুলগাজীর বন্দুয়া দৌলতপুরের হাজি স্টোরের কাছে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে একটি দ্রুতগতির সিএনজিচালিত অটোরিকশা একটি যাত্রীবাহী বাসকে অতিক্রম করার সময় বাসের ধাক্কায় এটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালক বেলাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহত দুজনকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা যান। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহত অপর ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সোমবার রাত ১১টার দিকে তপুরা আক্তার ও তাঁর ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম (১৬) দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে। ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সিরহাট ফায়ার সার্ভিসের সামনে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মা ও ছেলে সড়কের বাইরে ছিটকে পড়েন। এ সময় তপুরা আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর ছেলে আহত হন।

error

Share this news to your community