পত্নীতলায় আউশ রোপণে কোমর বেধেঁ নেমেছে নারী পুরুষ

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ নওগাঁর পত্নীতলায় বোরোর ভালো দাম পাওয়ায় এবার চলছে আউশের চারা তৈরী ও রোপণে কাজ। করোনার কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় ঘরের নারী-পুরুষরা একত্রে কাজ করছেন জমিতে। তাদের দাবি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে।
সরজমিনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে বেশ কিছু এলাকায় আউশ ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকেরা। জমিতে পানি সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপণ করছেন কৃষকরা। উপজেলা মাঠজুড়ে চলছে এখন আউশ ধানের চাষাবাদ। বীজ রোপণের জন্য উপযোগী করে জমি তৈরী ও বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন, চারা গাছ রোপণসহ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় নানা কাজ চলছে জমিতে। উপজেলার মাঠে মাঠে চোখে পড়ছে এমন দৃশ্য। করোনার প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক সঙ্কট থাকায় ঘরের নারী পুরুষ একত্রে যোগ দিয়েছেন কৃষিকাজে।
কৃষকরা জানায়, আউশ ধান চাষের জন্য তৈরি হওয়া জমিতে দ্রুত চলছে চারা রোপণের কাজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আউশের বাম্পার ফলন হবে। আবার অনেক কৃষক প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেই রোপণের কাজ শেষ করেছেন।
উপজেলার নাদৌড় গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে পারিজা জাতের আউশ ধান রোপণ করেছেন। সরকার যদি এ মৌসুমে সেচের পানিটা বিনা মূল্যে সরবরাহ করত তাহলে আমরা লাভবান হতাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শ্রী প্রকাশ চন্দ্রর সরকার জানান, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মাঠকর্মীদের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে আউশ ধান আবাদ কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ উপজেলার কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কেউ কেউ জমিতে চারা রোপণ করছে। আবার কারো কারো জমিতে আরও একমাস আগে চারা রোপণ করা হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে এ বছরও লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ হবে বলে আশা করছি।

error

Share this news to your community