নিয়তি

আকিব শিকদার

রাস্তার মোড়ে জুতা কালি করা লোকটা হতেপারতো
লোকাল ট্রেনের হরেক মালের হকার।
সিটিকর্পোরেশনের ডাস্টবিন সাফ করা মহিলাটা
বেছেনিতে পারতো ছাত্রাবাসে রাধুনী-জীবন।
কে না জানে, জুতা পালিশের চেয়ে বাদাম বেচায়
ঢের সম্মান। নাঙা হাতে সিটি-ভ্যানে ময়লা তোলার চেয়ে
আনাজ কাটায় বেশি ইজ্জত।

লাশকাটা ঘরে ডোম মৃত মানুষের বুক চিড়ে
কলিজা সরিয়ে রেখে দুটো সিগারেট ধরায়।
শ্বশানের চন্ডাল দু’ঢোক মদ গিলে
পোড়াতে দাড়ান সদ্যপ্রয়াত লাশ।
এই ডোম বহুবার চেয়েছেন
রক্তমাখা ধারালো ছোড়া ছুরে ফেলে নর্দমায়
ধরতে অটোরিকশার হাতল। এই চন্ডাল শরীর থেকে
কতবার ঝেরে মুছে শশানের ছাই
হতে চেয়েছেন অট্টালিকার রাতপ্রহরী। অথচ…

বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তান, যে হতেচায় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার
সে হয় সরকারি অফিসের কেরানি।
পাইলট হবার স্বপ্ন বুকে নিয়ে
ট্রাক ড্রাইভার। অধ্যাপনার প্রস্তুতি নিতে নিতে থানার দারোগা!
পেপার বেচা ছেলেটাই বড় হয়ে হয়ে যায়
ব্যাংকের বড়কর্তা, চা বিক্রেতা দেশের রাষ্ট্রপ্রধাণ।
সবই নিয়তি! কে লিখে ভাগ্যলিখন! কে ঘুরায় নিয়তির চাকা?

error

Share this news to your community