নওগাঁয় এস,পির ভাগিনা পরিচয়ে চিঁচকে জনির চাঁদা দাবী, তদারকি কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত

সাইফুল ওয়াদুদ নওগাঁ প্রতিনিধি, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর থেকে শাহাগোলা রাস্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাস্তা মেরামত করন কাজ চলছিল। হঠাৎ গত ১৫ মে স্থানীয় চিঁচকে জনি কয়েক জন সন্ত্রাসী নিয়ে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং সেখানে সে পরিচায় দেয়, সে একজন এসপির ভাগীনা এবং সরকারী দলের বিদ্রোহী ছাত্রলীগ নেতা। তার দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে, রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। সেখানে উপস্থিত থাকা আত্রাই উপজেলা এলজিইডি অফিসের রাস্তার কাজ দেখা শুনার দায়ীত্বে থাকা কর্মকর্তা এ,বি,এম রব কাজ বন্ধের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে গেলে, তাকে বলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে নইলে কাজ বন্ধ থাকবে এই বলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু করে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। সে সময়, ঐ কর্মকর্তা বিষয়টি ইউএনও এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে জানাতে গেলে, তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয় চিঁচকে চাঁদাবাজ জনি।
জানা যায়, সাহাগোলা ইউনিয়নের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে জনি। স্থানীয়রা জানায়, এই জনি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সবাইকে এস,পির ভাগীনা পরিচয়ে এবং বিদ্রোহী ছাত্রলীগ পরিচয়ে দাপট ও ফাঁপড় দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কুকর্ম করে বেড়ায়। স্থানীয়রা জনির বিচার দাবী করেছেন।
এই জনি, কোন এক সময় নওগাঁ ডিগ্রী কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি নির্বাচনে ভোটে হেরে গিয়ে ছিল। ওই ঘটনার পর থেকে ২/৪ জন মিলে বিদ্রোহী ছাত্রলীগ পরিচয় দিতো, পরবর্তীতে সেখানে মারপিট খেয়ে শাহাগোলায় নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে কোন এক মামা এস,পি ও বিদ্রোহী ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে এখনো কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকায় এস,পির ভাগীনা পরিচয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার করে থাকে।
এদিকে ওই চাঁদাবাজীর ঘটনায় এলজিইডির কর্মকর্তা এ,বি,এম রব বাদী হয়ে, আত্রাই থানায় চাঁদাবাজি,সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া ও লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় একটি অভিযোগ করিলে, ওসি মোঃ মোসলেম উদ্দীন অভিযোগটি তদন্তের জন্য এ এস আই মামুনকে দায়ীত্ব দেন। অভিযোগটির সত্যতা পেয়ে পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে গ্রহন করেন আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ।
এ ব্যাপারে আত্রাই থানা আওয়ামীলীগে সভাপতি দুলাল দত্তর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন চাঁদাবাজ বা কোন অপরাধীর পক্ষে নয়। অপরাধী যেই হোক, আইন অনুযায়ী তার বিচার হওয়া উচিত বল মনে করি। দলীয় ভাবে কোন পদক্ষেপ তার বিরুদ্ধে নিবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে তো আওয়ামীলীগের কোন পদ বা কোন অবস্থানেই নেই বা আমাদের কোন জায়গাতেই নেই,আর বিদ্রোহী ছাত্রলীগ নামে কোন দল বা আওয়ামীলীগের কোন সহযোগী সংগঠন নেই। তাই আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনা, ওটা আইনের ব্যাপার আইন পদক্ষেপ নিতে পারে। আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ বাদল জানান, বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু সে তো আমাদের দলীয় কোন জায়গাতেই নেই, বিদ্রোহী ছাত্রলীগ নামেও কোন সহযোগী সংগঠন আমাদের নেই, তারপরও এগুলো নাম ভাঙ্গানোও অপরাধ। অপরাধ করলে বিচার হওয়ার দরকার। আর আওয়ামীলীগ কোন অপরাধীকে সাপোর্ট করে না। আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোসলেম উদ্দীন জানান, মামলা হয়েছে আসামী পলাতক রয়েছে, গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

error

Share this news to your community