চলনবিলের পানিতে ডুবে গেছে ৫০ হেক্টর জমির ভুট্টা

মোঃ লিটন হোসেন লিমন,নাটোর প্রতিনিধি, বগুড়া নিউজলাইভ ডটকমঃ নাটোর চলনবিলে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫০ হেক্টর জমির ভুট্টা। চলনবিলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া শিকড় গজানো ভুট্টা তুলছেন কৃষকরা। ইনসেটে শিকড় গজানো ভুট্টা। ভারী বর্ষণে হঠাৎ করেই পানিতে ডুবে গেছে চলনবিলের ৫০ হেক্টর জমির ভুট্টাক্ষেত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর শ্রমিক সংকটের কারণে তড়িঘড়ি করে সব ভুট্টা কেটে নেয়া সম্ভব হয়নি। সবার ধারণা ছিল, এবার চলনবিলে পানি আসতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে ডাহিয়া এলাকার কৃষকের ৫০ হেক্টর জমির ভুট্টা পানিতে ডুবে শিকড় বেরিয়েছে। ক্ষতি কমিয়ে আনতে কৃষকরা পচা ভুট্টা সংগ্রহ করে দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক পড়েছেন বিপাকে। সাদামাটাভাবে এই পরিস্থিতির জন্য প্রকৃতিকে দায়ী করা হলেও কৃষক-শ্রমিকের এই দুরাবস্থার জন্য সরকার ও প্রভাবশালীদের দায়ী করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। কৃষকরা জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডাহিয়া ইউনিয়নের লঘুকদমা মৌজার বড়ছিরা খাল ও বেড়াবাড়ি থেকে বিল হরিবাড়ির সিঙ্গারখালের মুখ বন্ধ থাকায় এ দুরাবস্থা চরমে পৌঁছেছে। ডাহিয়া গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, আমার ২২ বিঘা জমিতে এবার বাম্পার ভুট্টা ফলন হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ উত্তরাঞ্চলের বর্ষণের পানি এসে জমে সব শেষ হয়ে গেল। একই গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কয়েকটি ভুট্টা হাতে তুলে দেখিয়ে বলেন, পানি পেয়ে সবই শিকড় গজেছে। পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই ভুট্টা দিয়ে কি হবে? খাল খনন করে পানি বের করার ব্যবস্থা নিলে এ অবস্থা হতো না। বারুহাস গ্রামের রহিম আলী বলেন, আমরা সরকারের কাছে কিছু চাই না। শুধু বিলের পানিত নামার ব্যবস্থা চাই। প্রভাবশালী লোকজন বর্ষার সময় জাল পেতে ও বেড়া দিয়ে পানি নামার গতি কমিয়ে দেয়। এতে ধান ও ভুট্টা লাগাতে দেরি হয়। কাটতেও দেরি হয়। ততদিনে বৃষ্টিবাদল শুরু হয়ে যায়। চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালে বিলশা এলাকায় বন্ধ মুখ খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

error

Share this news to your community