বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম, ঢাকাঃ কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ফাঁসির নতুন মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদকে ঝুঁলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এটিই হচ্ছে নতুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম ফাঁসি।
রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। এরআগে গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো প্রাণভিক্ষা খারিজের চিঠি পৌঁছায় কারাগারে। তখনই ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে শুরু করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসির আগে কারা মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদকে তওবা পড়িয়েছেন। তওবা পড়ার সময় চিৎকার করে কেঁদেছেন আব্দুল মাজেদ। শুক্রবার মাজেদের স্ত্রী সালেহা, স্ত্রীর বোন ও বোন জামাই, ভাতিজা ও একজন চাচাশ্বশুর তার সঙ্গে শেষ দেখা করেন।
অন্যদিকে আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর লাশ তার পৈত্রিক জেলা ভোলায় দাফনে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয়রা। মাজেদের লাশ ভোলায় যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভোলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে পাহারা বসিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় ভোলাকোর্টে মরদেহ পাঠানো হবে ও দাফন করা হবে বলে প্রস্তুতি নিতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আব্দুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিল। গত সোমবার মধ্যরাতে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পরদিন মঙ্গলবার মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।