ষ্টাফ রিপোর্টারঃ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে সবুজে ঘেরা ধানখেতগুলো এখন সোনালি রঙে রাঙিয়ে উঠছে। কৃষকেরা নতুন ধান কাটার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির সামনে এই ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য জায়গা তৈরি করতে শুরু করেছেন নারীরা। নতুন ধানে কয়েক দিন পরেই এসব গ্রাম মেতে উঠবে ‘নবান্ন’ উৎসবে।
বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, নাটোর, গাইবান্ধা, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের বেশির ভাগ ধানখেতগুলো সোনালি রং ধারণ করেছে। মহাসড়কের পাশের ধানখেতগুলোর এমন রূপে মুগ্ধ পথচারী ও গাড়ীতে যাতায়াতরত দুরের যাত্রীরা।
কৃষকেরা বলেন, গ্রামে যেসব জমিতে আগাম এই ধান চাষ হয়েছে, শুধু সেসব জমিতে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়ে যাবে। এ বছর উপজেলায় উচ্চফলনশীল জাতের মধ্যে ব্রি ধান–৪৯ সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। এ ছাড়া ব্রি ধান–৫১ ও ব্রি ধান–৭১, রণজিৎ, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চাষও করেছেন কৃষকেরা। কৃষকদের মতে, কিছুদিন টানা বৃষ্টি না হলে বিঘাপ্রতি গড়ে ২০ থেকে ২২ মণ ধান উৎপাদিত হতো।
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ির আঙিনায় এক নারী চুলা খুঁড়ছিলেন। তিনি বলেন, আর এক সপ্তাহ পর ধান কাটা শুরু হবে। কাটা ধান মাড়াই করার পর চাল করার জন্য সেদ্ধ করতে হবে। এ জন্য তিনি চুলা তৈরি করে রাখছেন। একই গ্রামের কৃষক আবু বক্কর বলেন, জমিতে ধান কাটার পর মাড়াই করার জন্য কৃষকের বাড়ির আঙিনাও তৈরি করে রাখার কাজ চলছে।
গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়ার উপপরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ বছর সরকারি গুদামে আমন মৌসুমের উৎপাদিত ধান কৃষকেরা বিক্রি করতে পারবেন। যে কৃষকেরা এই ধান চাষ করেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে অনলাইনে আপলোড করার কাজ চলছে। ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। যাঁদের নাম লটারিতে উঠবে, তাঁরা সরকারি খাদ্যগুদামে এই ধান বিক্রি করতে পারবেন।