অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার শপথ

বগুড়া নিউজলাইভ ডটকম ডেস্কঃ বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠানমালার শুরুতে বিকেল সাড়ে ৪টায় সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠা কন্যা শেখ রেহানা।


রাজধানীসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সারা দেশের মানুষের সঙ্গে যুক্ত হন। শপথ অনুষ্ঠানটি সব টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুসহ ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আজ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দীর্ঘ ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামের ফসল। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ’
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসুন আমরা বাংলাদেশের বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে শপথ গ্রহণ করি যে, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো, বিশ্বসভায় উন্নত-সমৃদ্ধ বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা এখন শপথ গ্রহণ করবো। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমি এখন শপথ বাক্য পাঠ করবো। আপনাদের আমার সঙ্গে কণ্ঠ মিলানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
প্রধানমন্ত্রী যে শপথ পাঠ করালেন, তা হলো:
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আজ বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’


এ সময় সব মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পরপরই সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এর পরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

error

Share this news to your community